ডিসিসিআই’র বর্ষব্যাপী কর্মপরিকল্পনা

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) ২০২০সালের বর্ষব্যাপী কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ করেছে। এ উপলক্ষ্যে সোমবার ডিসিসিআই অডিটোরিয়ামে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় পরিকল্পনা তুলে ধরেন ঢাকা চেম্বারের সভাপতি শামস মাহমুদ।

অনুষ্ঠানে ডিসিসিআই’র ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি এন কে এ মবিন, এফসিএ, এফসিএস, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ বাশিরউদ্দিন, পরিচালক আরমান হক, আশরাফ আহমেদ, দীন মোহাম্মদ, এনামুল হক পাটোয়ারী, ইঞ্জিনিয়ার মো. আল আমিন, মো. রাশেদুল করিম মুন্না, মো. জিয়া উদ্দিন, মনোয়ার হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার শামসুজ্জোহা চৌধুরী, এস এম জিল্লুর রহমান এবং ওয়াকার আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময় অনুষ্ঠানে রফতানি বহুমুখীকরণ, মানব সম্পদের দক্ষতা উন্নয়ন, ইকোনোমিক ডিপ্লোমেসি, পুঁজিবাজার, জ্বালানি নিরপত্তা, ভ্যাট-ট্যাক্স, বৈদেশিক বিনিয়োগ, ব্যবসা পরিচালনার সূচকে উন্নয়ন, গবেষণা ও উদ্ভাবন, অবকাঠামো খাতের উন্নয়ন এবং এসডিজি প্রভৃতি বিষয়ের উপর গুরুত্বারোপ করেন শামস মাহমুদ।

চেম্বার সভাপতি বলেন, তৈরি পোশাক আমাদের রফতানি আয়ের প্রধান খাত হলেও, রফতানি আরো বাড়ানোর লক্ষ্যে অন্যান্য খাত সমূহে উন্নতি করতে হবে। পাশাপাশি সম্ভাবনাময় খাত সমূহের উন্নয়নে তৈরি পোশাক খাতের মত বন্ডেড ওয়ারহাউজ সুবিধা, ব্যাক টু ব্যাক এলসি, কর অবকাশ সুবধিা প্রদান ও নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের  উপর জোরারোপ করেন তিনি।

এটুআই প্রকল্প পরিচালিত গবেষণা অনুসারে, অটোমেশনের ফলে বাংলাদেশে তৈরি পোশাক, টেক্সটাইল, কৃষি ও খাদ্য, পর্যটন এবং চামড়া খাতের মোট কর্মসংস্থানের প্রায় ৪০ শতাংশ হুমকির মধ্যে রয়েছে। এ লক্ষ্যে মানবসম্পদের দক্ষতা উন্নয়ন ও ব্যবসা-বাণিজ্যের সব খাতে নতুন নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে ন্যাশনাল স্কিলস ডেভেলপমেন্ট অথরিটি, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো-এর মতো সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান ও নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের আর্থিক প্রণোদনা প্রদানের আহ্বান জানান। 

এছাড়া, ব্যাংক খাত, পুঁজিবাজার, ভ্যাট ও জ্বালানি বিষয়েও কথা বলেন শামস মাহমুদ।