প্রয়োজনে নিজস্ব সিকিউরিটি থাকবে : পাপন

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদ আল নুরে নারকীয় হত্যাকান্ডের ঘটনায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছেও এ বিষয়ে প্রশ্ন উঠে। এমনকি বিসিবির পক্ষ থেকে ক্রিকটে নিউজিল্যান্ডের কাছেও এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দাবি করা হয়। 

ঘটনার দিনই বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছিলেন, ভবিষ্যতে ক্রিকেট দলের বিদেশ সফরে নিরাপত্তার বিষয়টাই আগে খতিয়ে দেখা হবে। এরপরই দল সফরে যাবে কি যাবে না- তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

সোমবার দুপুরে ক্রাইস্টচার্চ হামলায় নিহতদের রুহের মাগফিরাত এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অলৌকিকভাবে বেঁচে যাওয়ার জন্য শুকরানা মিলাদের আয়োজন করা হয় বিসিবিতে।

সেই মিলাদ মাহফিলের পরই মিডিয়ার সামনে কথা বলেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন। সেখানে আবারও উঠে আসে ক্রিকেটারদের নিরাপত্তার বিষয়টি। এমনকি বিসিবি প্রধানকে জিজ্ঞাসা করা হয়, ভবিষ্যতে কোনো সফরে ক্রিকেটারদের সঙ্গে বিসিবির নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে কি না। জবাবে বিসিবি প্রধান জানিয়ে দেন, প্রয়োজন হলে ক্রিকেটারদের সঙ্গে বিসিবির নিজস্ব নিরাপত্তা কর্মী পাঠানো হবে।

বিসিবি প্রধান আরো বলেন, ‘নামাজের ব্যপারটা আমাদের জন্য আরো একটা ইস্যু। বিদেশে সাধারণত সিকিউরিটি দেয়া হয় খেলার মাঠে, হোটেল থেকে মাঠে যাওয়া-আসা। এ ছাড়া অন্য কোথাও ব্যবস্থা থাকে না। তবে ওদের (দ্বিপাক্ষিক সিরিজের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক দেশ) সঙ্গে আগে বলে কিছু করা যায় কি না তা আমরা দেখবো। আমাদের এখান থেকে সিকিউরিটি যাবে কি না তা নির্ভর করবে আমরা কি পাচ্ছি, তার উপর।’

আগের অবস্থার সঙ্গে এখনকার অবস্থা সম্পূর্ণ ভিন্ন। সে হিসেবেই এখন চিন্তা-ভাবনা করতে হবে বলে জানান বিসিবি প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ‘আগে তো বিষদ আলোচনা করতাম না। নিউজিল্যান্ডে তিনদিন ছিলাম, সেখানে কোনো পুলিশই দেখিনি। ওই দেশটাই হয়তো এমন। পুলিশ থাকলেও তারা মসজিদে পাহারা দেয়ার কথা চিন্তাই করেনি। কিন্তু নতুন ঘটনা চোখ খুলে দিয়েছে। এখন ব্যবস্থা নিতেই হবে। আমাদের যদি মনে হয় বিদেশ থেকে যা দিচ্ছে, তা যদি যথেষ্ট মনে না হয়, তাহলে অবশ্যই আমরা নিজস্ব সিকিউরিটি পাঠাবো। তবে এটা তারা যা দিচ্ছে, তার উপর নির্ভর করবে।’

আয়ারল্যান্ড সিরিজে নিরাপত্তার বিষয়ে পর্যবেক্ষক পাঠানো হবে কিনা এ নিয়ে পাপন বলেন, ‘এ রকম কোনো চিন্তা এখনো করিনি। আমরা এখন যে কোনো দেশে যাওয়ার আগে নিরাপত্তা পরিকল্পনা চাইবো। সেটা ঠিক মতো প্রয়োগ হচ্ছে কি না, তা দেখতে কাউকে পাঠাবো। সিকিউরিটির লোকই পাঠানো হবে, ব্যাপারটা তা নয়। কাউকে পাঠানো হবে। দেখা হবে ওরা যা বলছে, তা ঠিক মতো আছে কি না। এরপর যদি মনে হয়, তাহলে আমরা প্রয়োজন মতো ব্যবস্থা নিবো।’