ব্রেকিং:
চার বছর পর সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মাওলানা ত্বহার হোয়াটসঅ্যাপ-ভাইভার অন; বন্ধ মোবাইল ফোন কে এই মাওলানা ত্বহার ২য় স্ত্রী সাবিকুন নাহার? আওয়ামীলীগের ধর্মীয় উন্নয়নকে ব্যাহত করতে ত্বহা ষড়যন্ত্র স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে প্রতারণা লক্ষ্মীপুরে করোনা উপসর্গে প্রবাসীর মৃত্যু! লক্ষ্মীপুরে কৃষকের ধান কেটে দিলেন নির্বাহী কর্মকর্তা লক্ষ্মীপুরে করোনা রোগী ৩৭ জন : নতুন করে শিশুসহ আক্রান্ত ৩ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত করোনার তাণ্ডবে প্রাণ গেল ২ লাখ ১১ হাজার মানুষের মারা যাওয়া তরুণের করোনা নেগেটিভ, তিন ভাই বোনের পজেটিভ লক্ষ্মীপুরে কৃষকের ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিল এডভোকেট নয়ন লক্ষ্মীপুরে ত্রাণের সাথে ঘরও পেল লুজি মানসম্মত কোন ধাপ অতিক্রম করেনি গণস্বাস্থ্যের কিট পরিস্থিতি ঠিক না হলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব স্কুল-কলেজ বন্ধ বিভিন্ন থানার পুলিশ সদস্যদের সাথে পুলিশ সুপারের ভিডিও কনফারেন্স লক্ষ্মীপুরে আরো ৩ জনের করোনা পজেটিভ আপনিকি করোনা পরীক্ষায় গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের কিট ব্যবহারের বিপক্ষে? লক্ষ্মীপুরে ধান কেটে কৃষকের ঘরে পৌঁছে দিল ছাত্রলীগ লক্ষ্মীপুরে ২০০০ পরিবার পেল উপহার সামগ্রী
  • শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বছরের আলোচিত নাটক

আলোকিত লক্ষ্মীপুর

প্রকাশিত: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৯  

বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম নাটক। বছড়জুড়ে টেলিভিশন চ্যানেলগুলো অসংখ্য নাটক প্রচার করে থাকে। বর্তমানে টেলিভিশনের পাশাপাশি সোস্যাল মিডিয়াতেও প্রকাশিত হচ্ছে নাটক। আবরা টেলিভিশনে প্রচারিত অধিকাংশ নাটক ইউটিউবে দেয়া হচ্ছে যাতে পরবর্তীতে নাটকটি দর্শক দেখার সুযোগ পায়। চলতি বছরে প্রচারিত ও প্রকাশিত বেশকিছু নাটক দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে। সেই সব আলোচিত নাটক নিয়েই এবারের আয়োজন। 

আশ্রয়  
এ বছরের অন্যতম আলোচিত ও প্রশংসিত নাটক মাবরুর রশীদ বান্নাহর পরিচালনায় ঈদুল আজহার নাটক ‘আশ্রয়’। নাটকের অভিনয়শিল্পীর তালিকা দেখেই দর্শক অপেক্ষায় ছিল নাটকটি দেখতে। তবে গল্প বলে নিরাশ করেননি পরিচালক। এতে তাহসান খান ও নুসরাত ইমরোজ তিশা দম্পতির বাবা-মায়ের ভূমিকায় দেখা যায় মোশাররফ করিম ও জাকিয়া বারী মমকে। ব্যতিক্রমী এক পারিবারিক সম্পর্কের গল্প এটি।

মিস শিউলী
বাড়িতে আগন্তুক এসে সমস্যা সমাধান করার ব্যাপারটি আমরা হুমায়ূন আহমেদের নাটক এবং সিনেমায় দেখেছি। আশফাক নিপুণের নির্দেশনায় ‘মিস শিউলি’তেও এমনই গল্প ফুটে উঠেছে, তবে সেটা ভিন্ন আঙ্গিকে। ‘মিস শিউলি’ চরিত্রে অপি করিম প্রাণবন্ত অভিনয় করে দর্শকদের মন জিতে নিয়েছেন। বাড়ির ছেলের চরিত্রে অভিনয় করেছেন আফরান নিশো। তোতলার চরিত্রে তিনিও দর্শকদের মুগ্ধ করেছেন। আবুল হায়াত, সাফা কবির, ইয়াশ রোহান, শিল্পী সরকার অপু এবং সুমন পাটওয়ারী প্রত্যেকেই নিজেদের সেরাটা দিয়েছেন। 

সাবলেট 
চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা কালেভদ্রে নাটকে অভিনয় করেন। কিন্তু প্রতি বছরই আলোচিত নাটকের তালিকায় থাকে তার একটি-দুটি কাজ। এ বছরও আলোচনায় এসেছে তার অভিনীত ‘সাবলেট’ নাটকটি। এতে অপূর্বর সাবেক প্রেমিকার চরিত্রে দুর্দান্ত অভিনয় করেন পূর্ণিমা। একেবারেই মেকাপহীন স্কুল শিক্ষিকার চরিত্র ছিল তার। অপূর্বও তার রোমান্টিক ও হ্যান্ডসাম ইমেজ ভেঙেছেন। অভিনয় করেছেন ছোট চাকরি করা সংসারী ছেলের ভূমিকায়। যে পরিবার ও মাতৃটানে অদ্ভুত সুন্দর ভালোবাসার সম্পর্ককে ছিন্ন করেও নির্ভার!

আমাদের সমাজ বিজ্ঞান 
নির্মাতা শাফায়েত মনসুর রানা তার বেশিরভাগ নাটকে সমাজের এমন কিছু অসংগতি তুলে ধরেন যা দেখে দর্শকের বিবেক প্রশ্নবিদ্ধ হয়। এই নাটকেও সুদূর আমেরিকা থেকেও বোন তার ভাইয়ের সংসারের সব বিষয়ে নাক গলানো, নতুন প্রজন্মকে পুরনো প্রজন্মের চোখে সব সময় ভুল মনে করা, একজন পড়াশুনা শেষ করা তরুণের ক্যারিয়ার সেট করার জটিলতার মতো বেশকিছু ঘটনার সন্নিবেশ ঘটিয়েছেন তিনি। অভিনয় করেছেন তারিক আনাম খান, তানিয়া আহমেদ, ইয়াশ রোহান, তানিয়া বৃষ্টি, বাশার ও মিলি দম্পতি।

জয়েন ফ্যামিলি
মানুষের আপন সুখের সন্ধানে সবাই মরিয়া। যেখানে ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজনেরও ঠাঁই নেই। বাস্তব জীবনের ঠিক তেমনই এক ছায়া নিয়ে নির্মিত নাটক ‘জয়েন ফ্যামিলি’। পারিবারিক ঘরানার এ নাটকে পিতা-মাতাহীন অবহেলিত এক মেয়ের গল্প তুলে ধরেছেন নন্দিত নাট্যকার বৃন্দাবন দাস। বৃন্দাবন দাস মানেই সাবলীলভাবে জীবনঘনিষ্ঠ গল্পে মানুষকে আবেগতাড়িত করে ভাবনার উদয় ঘটানো। ‘জয়েন ফ্যামিলি’ নাটকটিতেও তার ব্যত্যয় ঘটেনি। দীপু হাজরার পরিচালনায় নাটকটির গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্রে শাহনাজ খুশির অভিনয় বাকরুদ্ধ করে দিয়েছে দর্শকদের। নাটকটিতে চঞ্চল চৌধুরী ছিলেন বরাবরের মতোই অনবদ্য। পারিবারিক জীবনঘনিষ্ঠ এ নাটকে বৃন্দাবন দাস, নাজনীন হাসান চুমকি, নাদিয়া আহমেদ, দিব্য জ্যোতি, সৌম্য জ্যোতিসহ প্রত্যেকের অভিনয় নজর কেড়েছে দর্শকদের।

লেডি কিলার ও লেডি কিলার ২
এ বছরের প্রশংসিত নাটকের মধ্যে সর্বাধিক নাটকের অভিনেতা তাহসান খান। ‘লেডি কিলার’ ও ‘লেডি কিলার ২’ সিরিজ নাটক দুটি নারীপ্রধান গল্প হলেও এতে নুসরাত ইমরোজ তিশার বিপরীতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন তিনি। তাহসান যে কাজ বাছাইয়ে আরো সচেতন হয়েছেন এ বিষয়টি এ বছরে তার কাজের দিকে খেয়াল করলেই বোঝা যাবে। এই নাটকে তিশা একজন নির্ভীক মেয়ে। সমাজের কোনো অসংগতি দেখলেই কেবল তার মারকুটে স্বভাব বেরিয়ে আসে। কিন্তু সেই মেয়েটিও যে সংসার এবং পরিবারের জন্য অনেক কিছুর সঙ্গে আপোস করতে পারে তাই দর্শককে অন্যরকম ভাবনার জায়গা তৈরি করে দেয়।

২২শে এপ্রিল
চোখে আঙুল দিয়ে বাস্তব দেখিয়ে দিল ‘২২শে এপ্রিল’। আমাদের দেশে বড় বড় যে দুর্ঘটনাগুলো ঘটেছে, সেই তারিখগুলোকে মানুষ মনে রাখে। বিশেষ করে যারা সেসব দুর্ঘটনায় স্বজন হারিয়েছে, তাদের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকে। গুলশানের হোলি আর্টিজান, চকবাজারের আগুন, বনানীর এফ আর টাওয়ারের আগুন এ ঘটনাগুলো কেউ কি ভুলতে পারবে! এ বাস্তব ঘটনাগুলোকে মাথায় রেখে মিজানুর রহমান আরিয়ান নির্মিত সময়ের সাহসী নাটক ‘২২শে এপ্রিল’। অপূর্ব তার ছোট্ট মেয়েকে বুঝিয়ে খালার কাছে রেখে শহরে এসেছে কাজে। মেয়ের জন্য এটা-ওটা কিনেছে। ইরেশ যাকের মাকে হাসপাতালে নিয়ে যাবে বলে কথা দিয়ে অফিসে গেছে। ভালোবাসার জুটি মনোজ কুমার-তানজিন তিশা আর মেহজাবিন-তামিম মৃধা আলাদা দুটি গল্পে আছে। আফরান নিশোর গল্পটিও আলাদা। শহীদুজ্জামান সেলিম অফিসের বস যার মাথা গরম। তাকে সামাল দিতে ইরেশ ও নাবিলা ব্যস্ত। গল্পগুলো একটা জায়গায় এসে মেশে। অর্থাৎ দুর্ঘটনাস্থলে। এ ধরনের নাটক নির্মাণের জন্য পরিচালক মিজানুর রহমান আরিয়ান প্রশংসার দাবিদার।

সোনালী ডানার চিল 
মেহজাবিন যে নিজেকে ভাঙতে চেয়েছেন তা এ কাজটি দেখেও বোঝা যায়। আশফাক নিপুণ মেধাবী নির্মাতা। তার কাজে আলাদা হিউমার ও সম্পর্কের টানাপড়েন থাকে। এ নাটকে মেহজাবিন একেবারেই গ্ল্যামারহীন। তার বিপরীতে ছিলেন আবীর মির্জার অভিনয়ও দর্শকদের মন কেড়েছে। 

উবার
বাবারা বটবৃক্ষের মতো। পরিবারকে নীরবে ছায়া দিয়ে যান। কিন্তু কখনো সন্তান সেটা বুঝতেই পারে না। উপরন্তু তাদের ভুল বোঝে সব সময়। বাবারা অনেকটা নারিকেলের মতো। বাইরেরটা শক্ত খোলসে ভরা হলেও ভেতরে অমৃতরূপী জল। তৌসিফ-সাবিলা পালাতে যায়। সাবিলার ধারণা বাবা-মা তাকে ভালোবাসে না। কিন্তু সে জানে না তার বাবা-মা তাকে কতটা ভালোবাসে। বাবা নামের মানুষটি বট বৃক্ষের মতো নীরবে ছায়া দিয়ে যায়। মেয়ের স্কুটি কেনার জন্য টাকা জোগাড় করতে অফ ডেতে উবার চালায়। তৌসিফ-সাবিলা যে গাড়িটিতে করে পালাতে যায়। সে গাড়ির ড্রাইভার সাবিলার বাবা। এমনই এক গল্পে নির্মিত হয়েছে এ বছরের আলোচিত নাটক ‘উবার’। গৎবাঁধা গল্পের ভিড়ে এমন ভিন্ন গল্পে নাটকটি নির্মাণ করেছেন সাজিন আহমেদ বাবু। যেটির চিত্রনাট্য করেছেন তিনি নিজেই। নাটকটি দেখার পর দর্শক মনে ভাবনার উদয় হবে।

কিংকর্তব্যবিমূঢ়
এক জাদুকর তার জাদুর খালি বাক্সে জাদু দিয়ে আপেল, কবুতর এগুলো আনত। হঠাৎ করেই একদিন তার জাদুর বাক্সে একটি ছোট্ট মেয়েকে আবিষ্কার করে। সবাই তার এই জাদুর প্রশংসা শুরু করে, ভালোলাগা তৈরি হয় সেই জাদুকরের মনে। তবে আস্তে আস্তে মিথ্যা ভালোলাগাটা যেন জাদুকরের মনে বিদ্রোহ শুরু করে দেয়। এভাবে শুরু হয় ‘কিংকর্তব্যবিমূঢ়’-এর গল্প। ইফতেখার আহমেদ ফাহমি ‘কিংকর্তব্যবিমূঢ়’ দিয়ে দেখিয়েছেন নিজের মুন্সিয়ানা। যাদের জন্য নাটকটি শেষ করে দর্শক মুগ্ধতায় কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে যায়, তারা হলেন চঞ্চল চৌধুরী আর নুসরাত ইমরোজ তিশা। এছাড়া সোহেল খান এবং গুলশান আরার কমেডি দেখে মন থেকে হাসতে বাধ্য প্রতিটি দর্শক। এভাবেই নির্মাতা ফাহমি হাসি আর রহস্যের ধূম্রজালে দর্শকদের কিছু সময়ের জন্য আটকে রেখেছিলেন স্ক্রিনের সঙ্গে।

ক্ষণিকের আলো 
অপি করিম এখন খুব একটা অভিনয় করেন না। তিনি প্রায়ই বলেন, যে গল্পগুলোতে অভিনয়ের প্রস্তাব পাই তা আমাকে খুব একটা টানে না। কিন্তু যে কাজটি তিনি করেন তা সত্যিই ভিন্নধারার হয়। এই নাটকটিও তেমন। ক্ষণিকের আলোতে তার স্বামীর চরিত্রে আছেন মেধাবী অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। কমেডি আর সাদামাটা ধারাবাহিক নাটকেই বেশি দেখা যায় তাকে। তবে ভালো গল্পে কাজের সুযোগ পেলে তিনি দারুণভাবে কাজে লাগান।

মধ্যে রাতের সেবা
একটি লাল শার্টকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে এ নাটকের গল্প। এতে একজন পাঠাওয়ের যাত্রীর চরিত্রে অভিনয় করে বেশ প্রশংসা পেয়েছেন নাজিয়া হক অর্ষা। আর পাঠাওয়ের ড্রাইভারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাশেদ সীমান্ত। এই নাটকের দৃশ্য লাখো মানুষের চোখে জল এনে দিয়েছে। ঈদ নাটকের অসংখ্য নাটকের ভিড়ে একজন অপরিচিত রাশেদ যেন এখন নায়ক হয়ে উঠেন। নাটকটির মাধ্যমে তারকাদের ছাপিয়ে রাশেদ সীমান্ত এখন মধ্যমণি। এটি রচনা করেছেন সুবাতা রাহিক জারিফা, নির্মাণ করেছেন জিয়াউর রহমান জিয়া। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মাজনুন মিজান, রাশেদ সীমান্ত, নাজিয়া হক অর্ষা, আনোয়ার হোসেন আনু, কালে খা, ইকবাল হোসাইন, বাদল প্রমুখ। ইউটিউবে প্রকাশের পরপরই দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে প্রশংসা পেয়েছেন নাটকটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাই। 
 
লাইফ ইন্স্যুরেন্স
একটি বেসরকারি ইন্স্যুরেন্স প্রতিষ্ঠান, যাদের হাতে সাধারণ মানুষ তাদের জীবনের সবটুকু সম্বল বিশ্বাস করে তুলে দেয়। হঠাৎ মানুষদের সেই শেষ সম্বল নিয়ে পালিয়ে যায় প্রতিষ্ঠানটি। মানুষ তাদের টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে কর্মকর্তাদের। ছেলেকে মিথ্যা ঋণের হাত থেকে মুক্ত করতে মা তার জীবন বিসর্জন দেন। ফলে মায়ের লাইফ ইন্স্যুরেন্সের টাকা পায় তার পরিবার, পরিবার মুক্ত হয় মিথ্যা ঋণের বোঝা থেকে। আমাদের সমাজের এই চিরচেনা গল্পকে নিজস্ব ঢঙে ‘লাইফ ইন্স্যুরেন্স’ নামের নাটকে রূপান্তরিত করেছেন ভালোবাসার গল্পকথক মিজানুর রহমান আরিয়ান। নির্মাতার অন্যান্য নাটকের মতো এই নাটকটিতেও রয়েছে মন ভালো করে দেয়া কিছু ডায়লগ। এখানে অভিনয় করেছেন অপূর্ব ও মিথিলা।

আলোকিত লক্ষ্মীপুর
আলোকিত লক্ষ্মীপুর
//