ব্রেকিং:
চার বছর পর সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মাওলানা ত্বহার হোয়াটসঅ্যাপ-ভাইভার অন; বন্ধ মোবাইল ফোন কে এই মাওলানা ত্বহার ২য় স্ত্রী সাবিকুন নাহার? আওয়ামীলীগের ধর্মীয় উন্নয়নকে ব্যাহত করতে ত্বহা ষড়যন্ত্র স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে প্রতারণা লক্ষ্মীপুরে করোনা উপসর্গে প্রবাসীর মৃত্যু! লক্ষ্মীপুরে কৃষকের ধান কেটে দিলেন নির্বাহী কর্মকর্তা লক্ষ্মীপুরে করোনা রোগী ৩৭ জন : নতুন করে শিশুসহ আক্রান্ত ৩ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত করোনার তাণ্ডবে প্রাণ গেল ২ লাখ ১১ হাজার মানুষের মারা যাওয়া তরুণের করোনা নেগেটিভ, তিন ভাই বোনের পজেটিভ লক্ষ্মীপুরে কৃষকের ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিল এডভোকেট নয়ন লক্ষ্মীপুরে ত্রাণের সাথে ঘরও পেল লুজি মানসম্মত কোন ধাপ অতিক্রম করেনি গণস্বাস্থ্যের কিট পরিস্থিতি ঠিক না হলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব স্কুল-কলেজ বন্ধ বিভিন্ন থানার পুলিশ সদস্যদের সাথে পুলিশ সুপারের ভিডিও কনফারেন্স লক্ষ্মীপুরে আরো ৩ জনের করোনা পজেটিভ আপনিকি করোনা পরীক্ষায় গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের কিট ব্যবহারের বিপক্ষে? লক্ষ্মীপুরে ধান কেটে কৃষকের ঘরে পৌঁছে দিল ছাত্রলীগ লক্ষ্মীপুরে ২০০০ পরিবার পেল উপহার সামগ্রী
  • শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

বিয়ের ১০ বছর, নিজ পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ নিষিদ্ধ তার স্ত্রীর

আলোকিত লক্ষ্মীপুর

প্রকাশিত: ১০ নভেম্বর ২০১৯  

বিয়ের পর নিজের নামটিও লুকাতে হয়েছে এই নারীকে। শুধু তাই নয়, নিজের পরিবারকেও ভুলতে হয়েছে। বাবা-মা, আত্মীয় স্বজন সবাইকেই ভুলে রয়েছেন তিনি। তার একা একা ঘর থেকে বের হওয়াও মানা। কারণ তিনি পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকর ও নিষ্ঠুর প্রকৃতির মানুষের স্ত্রী। তার আরো একটি পরিচয় হলো তিনি নর্থ কোরিয়ার ফার্স্ট লেডি। নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন! বলছি কিম জন উংয়ের স্ত্রী রি সোল জু সম্পর্কে। 

নর্থ কোরিয়ার অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে হয় তাকে। তার নাম রি সোল জু। তিনি পড়ালেখা করেছেন মিউজিক অ্যান্ড সিঙ্গিং বিষয়ে। কিম জং উনের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার পূর্বে তিনি একজন চেয়ার লিডার ছিলেন। চেয়ার উইনিং প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণের জন্য তিনি নর্থ কোরিয়ার সবচেয়ে বড় শত্রু সাউথ কোরিয়াতেও গিয়েছিলেন। নর্থ কোরিয়ার ফার্স্ট লেডি হওয়ায় তাকে অনেক কঠিন নিয়ম কানুনেন মধ্য দিয়ে যেতে হয়। জেনে নিন সেসব অমানবিক নিয়ম সম্পর্কে-

 

তিনি একজন গায়িকা এবং চেয়ার লিডার ছিলেন

তিনি একজন গায়িকা এবং চেয়ার লিডার ছিলেন

১. এমন আইন যা সেদেশের সবাইকে অনুসরণ করতে হয়। সেটি তিনি যে পদেই থাকুক না কেন। মানতে হবে সবাইকেই। আর সেই বিষয়টি হলো নর্থ কোরিয়ার কেউই ১৬ই ফেব্রুয়ারি বিয়ে করতে পারবে না। কারণ কিম এল সানের জন্মদিন পালিত হয় সেদিন। এই ব্যক্তি ছিলেন কিম জন উংয়ের দাদা। এছাড়াও ১৫ এপ্রিলেও সেদেশে বিয়ে নিষিদ্ধ। কারণ সেদিন কিম জন ইলের জন্মদিন। যিনি কিমের পিতা। এজন্য নর্থ কোরিয়ার লিডারের বিয়েও এই দুই দিনের একদিনও হয়নি। এই বিশেষ দিনগুলোতে শ্রদ্ধেয় দুই ব্যক্তির প্রতিকৃতির সামনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো সবারই বাধ্যতামূলক।

২. বিয়ের পর নিজের নামটিও লুকাতে হয়েছে নর্থ কোরিয়ার ফার্স্ট লেডিকে। তার নাম রি সোল জু। এই নামে তাকে পুরো দুনিয়া চিনে। যদিও এটি তার আসল নাম নয়। বিয়ের পর তার এই নামটি রাখতে হয়েছে। বিয়ের পূর্বে তার নাম কি ছিলো তা আজো লুকিয়ে রেখেছেন তিনি। কারণ তার অতীত জীবন সম্পর্কে যেন কেউই না জানতে পারে।

 

রি সোল জু

রি সোল জু

৩. এই নিয়মটি খুবই অমানবিক। তা স্বত্ত্বেও মানতে হয় কিমের স্ত্রীকে। নিজের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি নেই তার। বিয়ে মানেই কি নিজের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া? অবশ্যই নয়। তবে নর্থ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের স্ত্রীর ক্ষেত্রে এই নিয়মটি না-কি বড্ড বেমানান। বিয়ের পর থেকে একদিনও নিজ পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে পারেন নি রি সোল জু। যদিও তিনি রাষ্ট্রের বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকেন এটি একটি কারণ হতে পারে। তবে অভ্যন্তরীণ বিষয়টি সবারই অজানা।

৪. জনসাধারণের সামনে যাওয়া মানা তার। অন্যান্য দেশের ফার্স্ট লেডিরা এই বিষয়ে উন্মুক্ত হলেও রি সোল জুকে বাইরে বের হতে গেলে সাতবার ভাবতে হয়। এছাড়া যতবার তাকে বাইরে দেখা গেছে প্রতিবারই তার স্বামী কিম জন উংয়ের সঙ্গেই। নর্থ কোরিয়ার এটি খুবই কঠিন একটি নিয়ম। মূলত ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষাতেই এই নিয়ম।

 

শুধু স্বামীর সঙ্গেই তিনি জনসম্মুখে যান

শুধু স্বামীর সঙ্গেই তিনি জনসম্মুখে যান

৪. নর্থ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টকে নিয়ে পুরো বিশ্বেই নানা কথার প্রচলন রয়েছে। তার বিভিন্ন নিয়ম কানুন বেধে দেয়ার কারণে তিনি নিষ্ঠুর প্রকৃতির বলেও পরিচিত। এই নিষ্ঠুরতা শুধু যে রাষ্ট্রের কল্যাণে তা কিন্তু নয় পরিবারও তার এসব নিয়মে প্রায় অতীষ্ট। পরিবার পরিজন এমনকি ছোট্ট শিশুকে যেতে হয় নিয়মের মধ্য দিয়ে। বিশ্বের বিভিন্ন শক্তিশালী দেশের সঙ্গে নর্থ কোরিয়ার সুসম্পর্ক না থাকায় বিপদের আশঙ্কায় থাকতে হয় তাদেরকে। মূলত সেসব বিপদ থেকে বাঁচতেই এসব নিয়মকানুন মানতে হয় কিম জন উনের পরিবারকে।

৫. রি সোল জুকে নিয়মিত বিভিন্ন শোকানুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে হয়। সঙ্গে শোক দিবসে বিভিন্ন প্রতিকৃতির সামনে গিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতেও হয়। 

 

 

স্বামী, শ্বশুর-শ্বাশুড়ির সঙ্গে রি সোল জু

স্বামী, শ্বশুর-শ্বাশুড়ির সঙ্গে রি সোল জু

৬. এই নারীর সমস্ত অতীত মুছে দেয়া হয়েছে। বিয়ের পূর্বে তিনি একজন চেয়ার লিডার ছিলেন। গানের প্রতি ছিলো তার অগাধ ভালোবাসা। এসবও ভুলতে হয়েছে তাকে। ভাবুন তো, কতটা কঠিন কাজ জীবনের অতীতকে মুছে ফেলা? কিম জন উনের সঙ্গে বিয়ের পূর্বে তিনি কোথায় বাস করতেন? তার নাম কি ছিলো? তিনি কি করতেন? এসব তথ্য সবারই অজানা। 

 

অদ্ভুত সব নিয়মকানুন প্রচলিত আছে এবং অদ্ভুত কিছু ঘটনা ঘটেছে এমন অনেক দেশের নাম করা যায়। তবে অদ্ভুত নিয়মকানুন এবং অদ্ভুত ঘটনার দিক থেকে উত্তর কোরিয়া অন্য সব দেশকে চোখের পলকে পেছনে ফেলে দেবে। বিশেষ করে দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট কিম জং-উনের ক্ষমতায় আরোহণের পর থেকে উন্মাদসুলভ কাহিনী ঘটেই যাচ্ছে। গোপনে বে-আইনি কাজ করলেও জনসম্মুখে সাধারণত আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রাখেন তিনি। 

 

কিম জন উং এবং তার স্ত্রী

কিম জন উং এবং তার স্ত্রী

তবে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং-উন যেন এসব কোনোকিছুরই তোয়াক্কা করেন না। আর তার খেয়ালি সিদ্ধান্তের ফলে ভোগান্তিতে ভোগে দেশটির প্রায় ২৫ মিলিয়ন মানুষ। বলা যায় পৃথিবী নামক সাগরে আশ্চর্য এক দ্বীপ এই দেশটি, যেখানে পৃথিবীর কোনো আইন-কানুনের বালাই নেই। এই দেশটিকে পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্নই বলা যায়। দেশটি মনে প্রাণে চাইছে অন্য কোনো দেশের সাহায্য ছাড়াই একা একা চলতে। জেনে নিন কিম জং-উনের ডার্ক সিক্রেট ও উন্মাদস্বরূপ কার্যক্রম সম্পর্কে-

১. উত্তর কোরিয়ায় ইন্টারনেট নিষিদ্ধ। সরকার অনুমোদিত ১ হাজারটি ওয়েবসাইট বাদে অন্য কোথাও ভিজিট করতে পারে না সে দেশের নাগরিকরা। 

 

ছেলেদের চুলের কাট

ছেলেদের চুলের কাট

২. নির্দিষ্ট ১০টি স্টাইলের বাইরে চুলের রাখতে পারবে না পুরুষেরা। মেয়েরা মোট ১৮টি ভিন্ন ভিন্ন স্টাইলে চুল রাখতে পারবে। ২৫ মিলিয়ন জনসংখ্যার জন্য সব মিলিয়ে ২৮টি হেয়ার কাট। এর বাইরে গেলে চলে যেতে হবে জেলখানায়।

 

মেয়েদের নির্ধারিত চুলের কাট

মেয়েদের নির্ধারিত চুলের কাট

৩. চাচা এবং চাচীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছিল প্রেসিডেন্ট কিম। ২০১৩ সালে উত্তর কোরিয়া সরকার দাবী করে তার চাচা জ্যাং বিপ্লবের মাধ্যমে কিমকে অপসারণের পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত। কিমের কাছে এই খবর যাবার পর তাৎক্ষণিকভাবে তাকে অপসারণ ও মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়া হয়। জ্যাং এর মৃত্যুতে তার স্ত্রী (কিমের চাচী) ব্যথিত ও মর্মাহত হয়। ব্যথিত হবার এই খবর পৌঁছায় প্রেসিডেন্ট কিমের কানে। এ খবরে চাচীকেও দেয়া হলো মৃত্যুদণ্ড।

 

গাঁজা বৈধ সেখানে

গাঁজা বৈধ সেখানে

৪. ১২ জন পপ তারকাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল কিম। তারকাদের অপরাধ হচ্ছে, তারা তাদের সঙ্গম মুহূর্তের ভিডিও টেপ তৈরি করেছিল।

৫. নীল রঙের জিন্স পরা নিষিদ্ধ উত্তর কোরিয়ায়। নীল রঙের জিন্স পরা যাবে না, কারণ এটি নাকি সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকার প্রতিনিধিত্ব করে।

৬. গাঁজা বৈধ উত্তর কোরিয়ায়। সৈন্য হতে আরম্ভ করে দেশের সকল স্তরের মানুষ বেশ উল্লাস করেই গাঁজা টানে। সেদেশে গাঁজা চা-সিগারেটের মতোই স্বাভাবিক।

আলোকিত লক্ষ্মীপুর
আলোকিত লক্ষ্মীপুর
//