রাস্তায় চেকপোস্ট বসিয়ে কাকে খুঁজছেন শুভ?

শহরে বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেছে। রাজধানীর উত্তরার ১৩ নম্বর সেক্টরের রাস্তায় দাঁড়াতেই চোখে পড়লো ডগ স্কোয়াড আর পুলিশের স্পেশাল ফোর্স নিয়ে চেকপোস্ট বসিয়ে গাড়ির তল্লাশি করছে। চারদিকে থম থমে পরিবেশ। একটি গাড়িও যাচাই না করে ছাড়ছেন না চৌকষ ও সাহসী পুলিশ অফিসার আরিফিন শুভ। 

শুভর নেতৃত্বে পুলিশের এ অনুসন্ধান। তাকে খুব চিন্তিত দেখাচ্ছে। কিন্তু কাকে হন্নে হয়ে খুঁজছেন শুভ? কে-ই বা এই অপরাধী? 

উৎসুক জনতার ভিড় ঠেলে মনের মধ্যে প্রশ্নটি নিয়ে চেকপোস্টের দিকে এগিয়ে যেতেই দেখা হলো নির্মাতা ও কাহিনীকার সানী সানোয়ারের সঙ্গে। তার কাছ থেকে জানা গেল, মূলত এখানে শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) মধ্যরাত পর্যন্ত চলছে ‘মিশন এক্সট্রিম’ সিনেমার শুটিং। গল্পের প্রয়োজনেই চেকপোস্ট বসিয়ে শুটিং করা হচ্ছে, তবে শুভ কাকে খুঁজছেন, তার উত্তর ‘মিশন এক্সট্রিম’ দেখার আকর্ষণ হিসেবেই তিনি রেখে দিলেন।

শুটিংয়ের ফাঁকেই সানী সানোয়ার বলেন, দেশ-বিদেশ মিলিয়ে আমাদের শুটিংয়ের কাজ ৮০ শতাংশ আগেই শেষ হয়েছে। গত সপ্তাহ থেকে বাকি কাজ শেষ করছি। বেশকিছু অ্যাকশন দৃশ্যের শুটিং চলছে। সিনেমার গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিকুয়েন্সও এই লটে করা হচ্ছে। আরো কয়েকদিন কাজ করলেই আগামী সপ্তাহে ক্যামেরা ক্লোজ করতে পারবো।

‘মিশন এক্সট্রিম’ সিনেমার জন্য কঠোর পরিশ্রম করছেন আরিফিন শুভ। দীর্ঘ সময় ব্যয় করেছেন জিমে ও প্রশিক্ষণে। নিজের শারীরিক গঠনেও এনেছেন পরিবর্তন। তবে তিনি শুটিংয়ের মধ্যে এতটাই ডুবে ছিলেন যে কুশল বিনিময় করে বললেন, এখন চরিত্রের মধ্যে ডুবে আছি। তাই বেশি কথা বলতে পারছি না। তবে এইটুকু বলতে পারি, আমার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা একটি কাজ করছি। সবচেয়ে বেশি পরিশ্রম ‘মিশন এক্সট্রিম’-এ আমি করছি।  

শুভর সঙ্গে শুটিংয়ে আরো অংশ নিয়েছেন অভিনেতা মাজনুন মিজান, সুমিত সেনগুপ্ত ও সাদিয়া নাবিলাসহ অনেকে। সানী সানোয়ারের সঙ্গে যৌথভাবে ‘মিশন এক্সট্রিম’ পরিচালনা করছেন ফয়সাল আহমেদ। ২০১৯ সালের ২০ মার্চ ঢাকায় সিনেমাটির শুটিং শুরু হয়। বাংলাদেশ ছাড়াও এর শুটিং হয়েছে দুবাইতে। ‘কপ ক্রিয়েশন’র ব্যানারে নির্মিত বাংলাদেশের দ্বিতীয় পুলিশ অ্যাকশন থ্রিলার এটি। ক্রাইম, থ্রিল, সাসপেন্স ও অ্যাকশননির্ভর একটি মৌলিক গল্পের উপর ভিত্তি করে সিনেমাটি নির্মিত হচ্ছে বলে জানান নির্মাতা।