ব্রেকিং:
চার বছর পর সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মাওলানা ত্বহার হোয়াটসঅ্যাপ-ভাইভার অন; বন্ধ মোবাইল ফোন কে এই মাওলানা ত্বহার ২য় স্ত্রী সাবিকুন নাহার? আওয়ামীলীগের ধর্মীয় উন্নয়নকে ব্যাহত করতে ত্বহা ষড়যন্ত্র স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে প্রতারণা লক্ষ্মীপুরে করোনা উপসর্গে প্রবাসীর মৃত্যু! লক্ষ্মীপুরে কৃষকের ধান কেটে দিলেন নির্বাহী কর্মকর্তা লক্ষ্মীপুরে করোনা রোগী ৩৭ জন : নতুন করে শিশুসহ আক্রান্ত ৩ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত করোনার তাণ্ডবে প্রাণ গেল ২ লাখ ১১ হাজার মানুষের মারা যাওয়া তরুণের করোনা নেগেটিভ, তিন ভাই বোনের পজেটিভ লক্ষ্মীপুরে কৃষকের ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিল এডভোকেট নয়ন লক্ষ্মীপুরে ত্রাণের সাথে ঘরও পেল লুজি মানসম্মত কোন ধাপ অতিক্রম করেনি গণস্বাস্থ্যের কিট পরিস্থিতি ঠিক না হলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব স্কুল-কলেজ বন্ধ বিভিন্ন থানার পুলিশ সদস্যদের সাথে পুলিশ সুপারের ভিডিও কনফারেন্স লক্ষ্মীপুরে আরো ৩ জনের করোনা পজেটিভ আপনিকি করোনা পরীক্ষায় গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের কিট ব্যবহারের বিপক্ষে? লক্ষ্মীপুরে ধান কেটে কৃষকের ঘরে পৌঁছে দিল ছাত্রলীগ লক্ষ্মীপুরে ২০০০ পরিবার পেল উপহার সামগ্রী
  • শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ কোটি ৩৯ লাখ টাকা বেশি রাজস্ব আদায়

আলোকিত লক্ষ্মীপুর

প্রকাশিত: ২১ নভেম্বর ২০১৯  

অর্থনীতির উন্নয়নের সঙ্গে বাড়াছে মানুষের সক্ষমতা। একই সঙ্গে বাড়ছে করদাতার সংখ্যাও। চলতি অর্থবছরে (২০১৯-২০) লক্ষ্মীপুর জেলা সরকার নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পাশাপাশি রাজস্ব আদায় উদ্বৃত্ত রয়েছে। জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত এ জেলার দুইটি সার্কেলে লক্ষ্যমাত্রার থেকে ১ কোটি ৩৯ লাখ টাকা বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। এ অর্থবছরে জেলার মোট রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ৭৫ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। জেলার উপ কমিশনারের কার্যালয় কর্মকর্তারা বলছেন, স্থানীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে করের আওতায় আনাগেলে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন আরও সহজ এবং উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বহুগুনে বৃদ্ধি পাবে।

সূত্র জানিয়েছে, জেলার মোট করদাতার সংখ্যা অক্টোবর ২০১৯ পর্যন্ত ২৪ হাজার ১৬৪ জন। এসব করদাতাদের আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে তাদের আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে। না হলে নির্ধারিত মেয়াদের পরে এক হাজার ও প্রতিদিন বিলম্বের কারনে ৫০ টাকা হারে জরিমানা দিতে হবে। তবে উপযুক্ত কারণ দেখিয়ে কর্তৃপক্ষের নিকট দরখাস্ত করা হলে পরবর্তী দুইমাস পর্যন্ত (ডিসেম্বর-জানুয়ারি) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি প্রতিদিনের জরিমানা থেকে মুক্ত থাকবেন। তবে মোট আয়ের উপর ২ শতাংশ হারে এককালীন জরিমানা দিতে হবে।

জেলায় বাজেট লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে দেখা গেছে, ২০১৯-২০ করবর্ষে মোট রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৭৫ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। এরমধ্যে অক্টোবর পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৫ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। এসময় পর্যন্ত আদায় হয়েছে ১৭ কোটি ২৫ লাখ টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার থেকে ১ কোটি ৩৯ লাখ টাকা বেশি। একই সময়ে জেলার দাখিলকৃত রিটার্ন সংখ্যা ২ হাজার ৪৪৬টি, এর থেকে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৬১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৭ টাকা। এছাড়া গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এ জেলায় মোট দাখিলকৃত রিটার্ন সংখ্যা ছিল ১০ হাজার ১৯৩টি। রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩ কোটি ১০ লাখ ৮২ হাজার ৬৬৯ টাকা। আর ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দাখিলকৃত রিটার্ন সংখ্যাছিল ১০ হাজার ৬০৯টি। রাজস্ব আদায় হয় ৩ কোটি ৪১ লাখ ৪১ হাজার ৭৫৮ টাকা। যা ২০১৭-১৮ অর্থবছর থেকে ৩০ লাখ ৫৯ হাজার ৮৯ টাকা বেশি।

এদিকে লক্ষ্মীপুরের চারদিন ব্যাপী আয়কর মেলা প্রাঙ্গণ ছিল দর্শনার্থী ও রিটার্ন দাখিলকারিদের ভিড়। এসময় নতুন করদাতাদের দেখা গেছে আনন্দের সঙ্গে তাদের রিটার্ন ফরম পুরণ করছেন। আর তাদের সহায়তা করছেন, রাজস্ব কর্মকর্তারা। নতুন করদাতা দেলোয়ার হোসেন বলেন, “শিক্ষক হিসেবে একটি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে চাকুরি শুর” করেছি। সরকারের নিয়ম মোতাবেক আয়কর প্রদান করতে হবে। এ জন্য মেলায় আসলাম। নতুন করদাতা হিসেবে যাবতীয় কাগজ-পত্র নিয়ে এসেছি। এখন কর্মকর্তাদের সহায়তায় ফরম পুরন করছি। বিষয়টি খুবই আনন্দের। ”
চারদিন ব্যাপী আয়কর মেলায় মোট করদাতার সংখ্যা ৩৩৮০জন, প্রাপ্ত রিটার্ন সংখ্যা ২০২৫টি, আদায়কৃত আয়করের পরিমাণ ৪১ লাখ ৮২ হাজার ৫০৯ টাকা। নতুন ই-টিআইএন গ্রহণ করেছেন ১০১ জন। সেই হিসেবে গত বছর ছিলো ১ হাজার ৩০৭টি, আদায়কৃত আয়করের পরিমাণ ২৯লাখ ৩৮ হাজার ৩৮৮ টাকা ।

এদিকে ২০১৮-১৯ করবর্ষে লক্ষ্মীপুর জেলার ৭জন করদাতাকে সেরা করদাতা হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়। এদের মধ্যে দীর্ঘ সময় কর প্রদানকারী ২জন, সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী ৩জন, ৪০ বছরের নিচে তর”ন-পুর”ষ সর্বোচ্চ করদাতা ১জন এবং সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী একজন মহিলা।

লক্ষ্মীপুরের সেরা করদাতা বেলায়েত হোসেন বেলাল বলেন, ঠিকাধারী প্রতিষ্ঠান এল.এম ট্রেডার্স সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করি। ফলে আমার প্রতিষ্ঠান আর্থিক ভাবে লাভবান হয়। এ আয়ে সরকারেরও অংশ রয়েছে। সঠিক ভাবে তা পরিশোধ করায় সরকারের পক্ষ থেকে আমাকে সম্মানিত করেছে। এজন্য আমার প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট সবাই কৃতজ্ঞ। এ অর্জন একার নয় প্রতিষ্ঠানের সবার। সরকারের উন্নয়নের ধারা অব্যহত থাকবে, দেশ আরো এগিয়ে যাবে এটাই প্রত্যাশা।

জেলার সহাকারী কর কমিশনার শচীন্দ্র নাথ সরকার জানান, সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সঙ্গে রাজস্ব অর্জনের সম্পর্ক রয়েছে। যত বেশি উন্নয়ন হবে রাজস্বও ততবেশি অর্জন হবে। গত অর্থবছর গুলোতে এ জেলায় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অনেক বেড়েছে। যার ফলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে সরকার রাজস্ব আদায় বেড়েছে। চলতি বছরে এ ধারা অব্যহত থাকলে এবারেও লক্ষ্যমাত্রার বেশি রাজস্ব অর্জন হবে।
তবে নতুন করদতা তৈরি করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করেন সরকারের এ কর্মকর্তা। এর কারণ হিসেবে শচীন্দ্র নাথ বলেন, জেলার নিয়মিত করদাতাদের মধ্যে সরকারী কর্মকর্তা, শিক্ষক ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বেশি। এসব এলাকার সাধারণ ব্যবসায়ী, বাড়ির মালিক ও শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের আয়ের তথ্য হালনাগাত করছেন না। কর পরিদর্শকের মাধ্যমে অনেকে ডাকা হলেও তারা সঠিক তথ্য দিতে চাচ্ছেন না। কোন কোন ক্ষেত্রে তারা বিরক্তিভাব দেখাচ্ছেন।
নতুন করদাতা তৈরির পরিকল্পনা বিষয়ে তিনি জানান, সরকারের নির্ধারিত পদ্ধতিতেই নতুন করদাতার তালিকা করা হচ্ছে। স্থানীয় পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের থেকে করযোগ্য ব্যক্তিদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। অনেকে ভবন নির্মান করছেন, কিন্তু তার অর্থের সংস্থান সম্পর্কে স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে কোন তথ্য দিচ্ছেন না। এমন ব্যক্তিদেরও সনাক্ত করা হচ্ছে। অনেকে তার আয়ের উৎস বৈদেশিক মূদ্রা (র‌্যামিটেন্স) বলে দাবি করেন। এতে রাজস্ব অফিসের কোন আপত্তি নেই। যিনি বৈধভাবে বিদেশ থেকে টাকা উপার্জন করেছেন, তার সঠিক তথ্য-প্রমান ব্যাংক হিসাবের তথ্য থাকতে হবে।

আলোকিত লক্ষ্মীপুর
আলোকিত লক্ষ্মীপুর
//